মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

এখনই ভাবা উচিত সঙ্কটে ধুঁকছে ফায়ার সার্ভিস নেয়া উচিত যুগোপযোগী পদক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৭৮ সময় দর্শন

দেশে সুউচ্চ ভবনের সংখ্যা বাড়লেও এর সাথে তাল মিলিয়ে কারিগরি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়েনি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের। আগুন নেভানো দুর্যোগদুর্ঘটনায় উদ্ধারকারী সংস্থাটির আধুনিক যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। জনবল যা আছে, তা পর্যাপ্ত নয়। প্রয়োজনীয় লোকবল আধুনিক সরঞ্জামের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ফায়ার সার্ভিসের। ফলে লোকবল আধুনিক সরঞ্জাম সঙ্কটে ধুঁকছে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। ছোট অগ্নিকাণ্ডগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাপণ করতে পারলেও সংস্থাটির দুর্বলতা ফুটে ওঠে বড় অগ্নিকাণ্ডের বেলায়।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার দুর্বলতা আরো স্পষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে গত নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া মাদরাসা রোডে পাশা টাওয়ার নামে ১০ তলা অগ্নিকাণ্ডের পর সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ১৬ ইউনিটের ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে পুড়ে যায় ভবনটির ছয়টি তলা।

শুধু এই একটি ঘটনা নয়, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড একই বছরের ২৮ শে মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাতেও হিমশিম খেতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসকে। অতিরিক্ত জনবল আনা হয় রাজধানীর বাইরে থেকেও।
যদিও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছেআগুন নেভানোর ক্ষেত্রে বড় সমস্যা অপরিকল্পিত নগরায়ন অগ্নিনির্বাপক সনদ ছাড়াই ভবন নির্মাণ প্রয়োজনীয় জলাধার না থাকা। কিন্তু আধুনিক সরঞ্জাম জনবল সঙ্কটেই বিলম্ব হয় তাদের। বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগার পর সংস্থাটি তা নেভানোর চেষ্টা করলেও বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে না যাওয়া, নেভানোর সময় পানি শেষ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

দিকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সারা দেশেই বাড়ানো হচ্ছে ফায়ার স্টেশন। কিন্তু সেই হারে বাড়েনি জনবল আধুনিক সরঞ্জাম। ১০ বছর আগে সারা দেশে ২০৪টি ফায়ার স্টেশন থাকলেও বর্তমানে সারা দেশে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৩৬টি। অথচ বর্তমানে অধিদফতরের প্রাধিকারপ্রাপ্ত মোট জনবল ১৩ হাজার ১১০ জন। কর্মরত আছেন ১০ হাজার ৮৯৩ জন। যার মধ্যে ফায়ারম্যানের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

জানা গেছে, প্রথম শ্রেণীর ফায়ার স্টেশনগুলোতে ৩৫ জন করে জনবল থাকার কথা। এর মধ্যে ফায়ারম্যান থাকার কথা ২২ জন। কিন্তু বাস্তবে ১৫১৬ জনের বেশি ফায়ারম্যান নেই প্রথম শ্রেণীর স্টেশনেও। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীর ফায়ার স্টেশনগুলোতে মোট জনবল থাকার কথা ২৭ জন করে। এর মধ্যে ফায়ারম্যান থাকার কথা ১৬ জন করে। কিন্তু এসব স্টেশনে ১০ জনের বেশি ফায়ারম্যান নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের জনবল বাড়েনি। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩০ হাজার জনবল প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। ছাড়া কর্মকর্তাকর্মচারীদের বেতন বৈষম্য নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ল্যাডার (মই) রয়েছে ২০টি। ঢাকায় রয়েছে মাত্র ৯টি। এর মধ্যে সম্প্রতি সর্বোচ্চ ৬৪ মিটারের দুটি ল্যাডার কেনা হয়েছে। ছাড়াও ৫৪ মিটার ২৭ মিটারের ল্যাডার রয়েছে। বিশেষায়িত গাড়িও বাড়ানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে বিশেষায়িত গাড়ি এখন প্রায় ৬০০টি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মনে করেন, ল্যাডারসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আরো প্রয়োজন।

সূত্র আরো জানায়, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সঙ্কট নিরসনে সম্প্রতি জাম্বু কুশন, লাইট ডিউটি রেসকিউ বোট, ডাইভিং অ্যাপারেটাস, এয়ার কমপ্রেসর মেশিন, রিমোট কনট্রোল ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, হেভি ডিউটি লাইট ইউনিট, টোয়িং ভিহিক্যাল, পোর্টেবল পাম্প, বিদ্রিং অ্যাপারেটাস স্মোক ইজেক্টরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যুক্ত করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো: শাহজাহান শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগই চলমান অবস্থায় রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে দেশে ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা হবে ৭০০এর বেশি। ছাড়া অধিদফতরের নতুন কাঠামোতে ২৫ হাজারের বেশি জনবল কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অধিদফতরের তেমন কোনো সঙ্কট থাকবে না। পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জে ১০০ একর জমির ওপর ফায়ার একাডেমি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

ফায়ার সপ্তাহ শুরু আজ : ‘প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুতি; দুর্যোগ মোকাবেলায় আনবে গতি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ বুধবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে ফায়ার সপ্তাহ২০২০। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী এই সপ্তাহ উদযাপিত হবে। উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দুর্যোগে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিরপুরের ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে থেকে এর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেবেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সাজ্জাদ হোসাইন। উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো: শহিদুজ্জামান বাণী প্রদান করেছেন।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71